শিরোনাম:
🔴 “বড় হয়ে বাবাকেই বিয়ে করব!” — শ্রাবন্তীর পুরনো মন্তব্য ঘিরে তোলপাড়, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে নেটদুনিয়ায় বিতর্কের ঝড়!
সংবাদ প্রতিবেদন:
টলিউডের আলোচিত নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। রূপে-গুণে তিনি যেমন প্রশংসিত, তেমনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়শই থাকেন খবরের শিরোনামে। প্রেম, বিয়ে ও বিচ্ছেদ—এই তিনটি শব্দ যেন বারবার ফিরে আসে তার জীবনের নানা অধ্যায়ে। তবে এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শ্রাবন্তী অন্য এক কারণে।
সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে শ্রাবন্তীর একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও, যেখানে তাকে শোনা যায় বলছেন — তিনি ছোটবেলায় ভাবতেন, বড় হয়ে নিজের বাবাকেই বিয়ে করবেন!
ভিডিওটি ‘হ্যাপি প্যারেন্টস ডে’ নামে একটি অনুষ্ঠানের অংশ। সেখানে শ্রাবন্তী তার মা-বাবার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, তার বাবা থিয়েটারে অভিনয় করতেন এবং যথেষ্ট হ্যান্ডসামও ছিলেন। ছোটবেলায় বাবাকে এতটাই ভালো লাগত যে, শ্রাবন্তী বলতেন, “আমি বড় হয়ে বাবাকেই বিয়ে করব।” বাবা তখন মজা করে বলতেন, “আচ্ছা ঠিক আছে, আগে বড় তো হও!”
সেই পুরনো, নিছকই শৈশবস্মৃতি ঘিরে এখন শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ঘিরে নেটপাড়ায় অনেকে শ্রাবন্তীর মন্তব্যকে টেনে নিয়ে গেছেন অপ্রাসঙ্গিক ও কুরুচিকর জায়গায়। কেউ কেউ দিয়েছেন বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, কেউ আবার করেছেন কটাক্ষ।
তবে অভিনেত্রীর অনুরাগীরা একেবারেই আলাদা মত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, ছোটবেলায় অনেকেই বাবা-মাকে এতটাই ভালোবাসে যে এমন কথা বলাটা একেবারেই স্বাভাবিক। তাই এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কিছুই নেই।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চিরচেনা ঝড়
প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবনও কম নাটকীয় নয়। তিনবার বিয়ে করেছেন তিনি। প্রথমে পরিচালক রাজীব বিশ্বাস, এরপর মডেল কৃষণ ব্রজ, এবং সর্বশেষে রোশন সিংয়ের সঙ্গে তার ঘর বাঁধা। তবে কোনো সম্পর্কই স্থায়ী হয়নি। বর্তমানে শ্রাবন্তী সম্পর্কে রয়েছেন ব্যবসায়ী অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে। রোশন সিংয়ের সঙ্গে তার ডিভোর্স এখনও চূড়ান্ত না হলেও আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
You also like: শাহরুখ-আমির এর রেকর্ড পেছনে ফেলে এক নম্বরে আহান পাণ্ডে
শেষ কথা
একটি ছোটবেলার মজার স্মৃতি থেকেই এই বিতর্কের শুরু। হয়তো সঠিক প্রেক্ষাপট বোঝার আগেই অনেকেই মন্তব্য করছেন নিজেদের মতো করে। তবে বোঝা দরকার, শিশুর মুখে এমন কথা কখনো কখনো নিছকই ভালোবাসার প্রকাশ — তার মধ্যে গভীর বা অন্য কোনো মানে খুঁজে পাওয়া সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে একটাই প্রশ্ন:
বাচ্চারা কি ভুল করতে পারে না? না বুঝে বলা তাদের কথা কি আমরা বড়দের মতো বিচার করব?
📌 এই ঘটনা নিছকই এক স্মৃতিচারণ, না কি ট্রোলের নতুন খোরাক — সিদ্ধান্ত নিন আপনিই।